ফ্রিল্যান্সিং কী এবং কীভাবে শুরু করা যায়??



ইদানিং অনেকের কাছ থেকেই একটা কথা শুনে থাকি। ভাই আমি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই। কীভাবে শুরু করব? অনেকদিন থেকেই ভাবছি এটা নিয়ে কিছু লিখব। কিন্তু লেখা হয়না কারন আমিই ফ্রিল্যান্সিং এ একেবারে নতুন। তবুও আজ সাহস করে বসে পড়লাম…

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং কী তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। কারন এটা সম্পর্কে মোটামোটি সবারই জানা আছে। সহজ কথায় কারো অধীনে না থেকে মুক্তভাবে কারো কাজ করে দেয়াই ফ্রিল্যান্সিং। যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন বাংলায় তাদেরকে মুক্তপেশাজীবী বলা হয়। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং বলতে শুধু অনলাইনে কোন বায়ারের কাজ করে দেওয়াকে বুঝালেও ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটা আরো অনেক ব্যাপক। অনলাইন ছাড়া অফলাইনেও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। সে সম্পর্কে সুযোগ হলে পরে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কী ধরণের কাজ করা যায়?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বলতে যেহেতু অনলাইনে বা ইন্টারনেটে কাজ করাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে কম্পিউটারে করা যায় এমন কাজেরই সম্পৃক্ততাই বেশি। মূলত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নিচের কাজগুলোর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশিঃ



১। আর্টিলেক রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেটিং

২। গ্রাফিক্স ডিজাইন

৩। ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

৪। প্রোগ্রামিং

৫। অডিও ভিডিও এডিটিং

৬। অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি।


এছাড়াও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে। কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সবধরণের কাজই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলাতে পাওয়া যায়। এমনকি বর্তমানে ফ্রিল্যান্স পার্সোনাল সেক্রেটারিও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় কথা হল যেকোন কাজে দক্ষ হলে দেখবেন অনলাইনে এই ধরণের কাজই রয়েছে হাজার হাজার।

ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শুরু করব?

প্রথম কথা হল যেকোন কাজে আপনাকে খুবই দক্ষ হতে হবে।

দ্বিতীয় কথা হল ঐ কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ থাকতে হবে।

তৃতীয় কথা হল ঐ কাজে সময় দেওয়ার মত মানসিকতা থাকতে হবে।

যারা বলে কাজ না জেনেও অনলাইন থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়, তাদেরকে প্রথমেই স্কিপ করুন। একটা সময় ছিল যখন ক্লিক করে টাকা আয় করা যেত (অামি নিশ্চিত না ব্যাপারটা নিয়ে)। এক্ষেত্রে এড ক্লিক বা কোন লিঙ্কে ক্লিক করার জন্য খুবই স্বল্প একটা এমাউন্ট পে করত। আমার জানামতে এই একটা সেক্টর থেকেই কাজ না জেনে আয় করা যেত। কিন্তু এখন আর সে সময় নেই। যারা ক্লিকের মাধ্যমে পেজ বা ওয়েবসাইটের রেঙ্ক বাড়িয়ে নিত ইন্টারনেট এখন তাদের চেয়ে অনেক এডভান্স।


তাই সবচেয়ে বড় কথা হল অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে হলে অন্তত একটি কাজে আপনাকে খুবই দক্ষ হতে হবে। একটা সহজ কথা চিন্তা করুন- একটা পনের থেকে বিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরির জন্য আমাদের কমপক্ষে পনের বছর পড়াশুনাই করতে হয়। তারপরও চাকরি পাওয়া যায় না। আর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমরা কয়েক মাস সময় দিতে পারি না একটু দক্ষ হওয়ার জন্য। যাতে আয়ের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ছোট্ট একটা ব্যাপার বলে রাখি বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিমাসে লক্ষ টাকার অধিক আয় করে এমন মানুষ কম নয়।

কোথায় শুরু করব?

অনলাইনে কাজ করার মত অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। বিড করে কাজ পাওয়ার মত কিছু ওয়েবসাইট হলঃ


upwork.com
freelancer.com
elance.com

বিড করার ঝামেলায় যেতে চান না। কোন সমস্যা নেই। বিভিন্ন কনটেস্টে অংশগ্রহন করতে পারবেন নিচের ওয়েবসাইটগুলোতেঃ

99designs.com
designcrowd.com
freelancer.com
zeerk.com
fiverr.com

এ আপনি আপনার কাজের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। ফাইভার এর ভাষায় যেটাকে গিগ বলা হয়। যেমন আপনি একটা গিগ পোস্ট করলেন যে $5 এর বিনিময়ে আমি এই কাজটি করে দেব। ক্লায়েন্ট আপনার এই গিগটি দেখে আপনাকে কাজের অর্ডার দিবে। আপনি কাজটি করে দিলেই পেমেন্ট পাবেন।


এছাড়া আপনি ডিজাইনার হলে আপনার কাজগুলো বিক্রি করতে পারবেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে।


ফ্র্রিল্যান্সিং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু শব্দ


ফ্রিল্যান্সারঃ যিনি ফ্রিল্যান্সিং করেন তিনিই ফ্রিল্যান্সার।


বায়ারঃ একজন ফ্রিল্যান্সার যার কাজ করে থাকেন তিনিই বায়ার।


মার্কেটপ্লেসঃ মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার আর বায়ার এর মিডিয়া হিসেবে কাজ করে। যে ওয়েবসাইটে জব বা কনটেস্ট পোস্ট করা হয় ঐ ওয়েবসাইটই মার্কেটপ্লেস।


বিডঃ বায়ারের পোস্ট করা জবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে তা বায়ারকে জানানোর প্রক্রিয়াকেই ফ্রিল্যান্সিং এর ভাষায় বিড বলা হয়।


ধারাবাহিক আরো অনেককিছু লেখার চেষ্টা করব।


ধন্যবাদ সবাইকে।



মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করুন মাসে ২০০ থেকে ১০০০ ডলার ২০১৮!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.